অনেক দিন ধরে ফেসবুকের একটা ফিমেল আইডির মেয়েকে পটানোর চেষ্টা করছি কিন্তু সহজে সে পটে তো না'ই, আমাকে সোজা বলে আমার প্রেমিক আছে; তুমি আমাকে বন্ধু ভাবতে পারো ৷ নাহ, কষ্টই পেলাম তার উত্তর পেয়ে ৷ মেয়েটা এত সুন্দর করে কবিতা লিখতো যে তার কবিতার প্রেমে পড়ে তাকেও ভালবেসে হ্নদয়ে গেঁথে রেখেছিলাম, কিন্তু সব আশায় গুঁড়ে বালি ৷ তার থেকে বেশ কয়েকবার পিকচার চাইলে সহজে দিতে চাইতোনা, কিন্তু সেদিন প্রোপস করার আগে সে তার পিকচার প্রোফাইলে আপলোড দেয়, তার ফটো দেখে বুঝতে পারি মেয়েটা প্রচুর সুন্দরী, তার সৌন্দর্যে নতুন করে পাগল হয়ে প্রোপস করতে বাধ্য হই কিন্তু সব ব্যর্থ হয় ৷ কি আর করার তাকে বন্ধু ভেবেই চ্যাটিং করতে থাকি ৷
আমি বিবাহিত তবুও প্রেমিকা খুঁজে বেড়াচ্ছি ৷ সবাই ভাববে আমার চরিত্র ভালনা ৷ কিন্তু কি করার, বউ যদি বাসর রাতের প্রথম দিন বলে-- “আমি আপনারে স্বামী হিসেবে মানিনা আমার প্রেমিক আছে, সে বিসিএস ক্যাডার হতে চলছে ৷ সামনেই পরীক্ষা ৷ পড়াশোনার চাপে আছে সে ৷ পরীক্ষা শেষ হলেই সে আমার কাছে চলে আসবে, এবং আমরা বিয়ে করে নিবো" ৷ এমন কথা শুনে কার না হ্নদয়ে কষ্ট লাগবে? আজ বিসিএস ক্যাডার নই বলে!!
যেই বউকে স্পর্শ পর্যন্ত করতে পারিনি, সেই বউয়ের অপেক্ষায় থেকে সোনার যৌবন নষ্ট করবো কোন দূঃখে? তাই আমি খুঁজতে লাগলাম প্রেমিকা ৷ বউ খোঁজা বাদ দিছি, যদি আরেকটা বিয়ে করি তবে সেও যদি এই বউটার মত হয় তবে জীবনটা ত্যানাত্যানা হয়ে যাবে ৷
তাই আগে প্রেম করবো তারপর বিয়ে ৷ এজন্যই ফেসবুকে প্রেমিকা খুঁজতেছিলাম ৷ মনের মত একজনকে পেয়েও কাজ হলোনা ৷ সেই মেয়েটির নাম ছিল মিথিলা ৷ তাকে প্রোপস করলে আমাকে সোজা রিজেক্ট করে এবং আমাকে বন্ধু বানিয়ে নেয় ৷
.
তাই নতুন কাউকে খুঁজতে লাগলাম ৷
সেদিন আমার বউ অনিমা'কে নিয়ে গেলাম শ্বশুর বাড়ি ৷ বউয়ের যে এত সুন্দরী একটা কাজিন আছে সেটা জানা ছিলনা ৷ তাকে পটাতে লাগলাম ৷ সে দেখি গলতে শুরু করে ৷ দুদিনে শালিকাকে বাগে এনে ফেললাম ৷ প্রেমের ক্ষেত্রে দারুন টিপস জানে ফেসবুকের আমার সেই বন্ধু মিথিলা, তারে বলতাম যে একটা মেয়ের প্রেমে পড়েছি তাকে কিভাবে ইম্প্রেসশড করতে পারি? সে নানারকম টিপস দিতো ৷ সেগুলো আমার বউয়ের কাজিনের উপর প্রয়োগ করতাম ৷ এবং কাজেও খাটতো ৷
বাসায় ফিরে কাজের ফাঁকে শুধু শালিকার সাথে ফোনে কথা বলতে লাগলাম ৷ কথার ভাষা হারিয়ে গেলে মিথিলাকে বলতাম নতুন নতুন প্রেমময় কথা শিখিয়ে দিতে, সে তাই করতো ৷ বউ তো তার পাশে আমাকে ঘেষতে দেয়না তাই শালিকাই আমার সম্বল ৷ বউয়ের কাজিনকে একপর্যায়ে পুরোপুরি পটিয়ে ফেললাম ৷ সে আমার প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হল ৷ তাকে বলেছি যে-- “তোমার চাচাতো বোনকে বিয়ে করলে কি হবে সে আমাকে ভালবাসে না, শীঘ্রই সে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে ভাগবে সূতরাং তুমি আমার হয়ে যাও, তোমাকে চিরসুখে রাখবো" ৷ সে এটা বিশ্বাস করে এবং আমাকে শেষপর্যন্ত বলতে বাধ্য হয় আমিও তোমাকে ভালবাসি ৷ বউয়ের কাজিন ফারিয়ার সাথে যে প্রেম করছি এবং তাকে নিয়ে যে শীঘ্রই পালাবো এটা বউ জানেনা ৷ ফেসবুকের বন্ধু মিথিলা কে বললাম প্রেমিকাকে নিয়ে তো পালাবো তুমি এব্যাপারে কি বলো? সে বলে যত তাড়াতাড়ি পারো পালিয়ে যাও, নাহলে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিতে পারে ৷
তার কথামত ফারিয়াকে বললাম অমুক দিন অমুক জায়গায় এই সময়ে চলে আসো ৷ সে তার বাবা মায়ের চোখকে ফাঁকি দিয়ে সেই জায়গায় চলে আসলো ৷ আমি তাকে সেখান থেকে নিয়ে কাজী অফিসে গেলাম ৷
ঐ সময়ে দেখি ফেসবুকের সেই বন্ধু মিথিলা তার প্রোফাইলে আমার বউয়ের পিক লাগিয়েছে ৷ ভাবলাম সে আমার বউয়ের পিক কই পেলো? আমি কি তাকে আমার বউয়ের পিক দিছি? পরে তার প্রোফাইলে ক্যাপশনের দিকে নজর দিয়ে দেখলাম সে লিখছে- “আজ সে আসবে সেই খুশিতে নিজের আসল পিকচার আপলোড করলাম" ৷
বুঝতে বাকি রইলোনা যে এতদিন বউয়ের লগেই চ্যাটিং করে গেছি ৷ তবে একটা ব্যাপারে খুশি হলাম ৷
মনে মনে হাসলাম এই ভেবে যে বউ তার জামাইকে তার বোনের সাথে পালানোর জন্য কি চমৎকার ভাবেই না সাহায্য করলো ৷
অনিমার কাজিনকে বিয়ে করার আগে তাকে ফোন দিয়ে বললাম
___আমি তো বিয়ে করতে যাচ্ছি, তোমার কি মত?
___তুমি বিয়ে করবে কি করবেনা সেটা তোমার ব্যাপার তাতে আমার কি? আমি তো আজ তোমার থেকে মুক্ত হবো ৷ আরিয়ান আজ আসছে ৷
___ঠিক আছে ৷ তোমার কাজিনকে বিয়ে করছি পরে যেনো কিছু বলোনা?
___কি? কাকে বিয়ে করছো?
___ফারিয়াকে, তুমিই তো তার সাথে প্রেম করিয়ে দিতে সাহায্য করলে!
___কি যা তা বলছো, কেমনে?
___ তোমার মিথিলা আইডিতে সাজিদ নামের আইডিটা আমারই, বউ!
___ওহ নো, তোর এত বড় সাহস আমার সাথে এতদিন চ্যাটিং করছিস? আবার আমার কাজিনকে ভাগিয়ে বিয়ে করতে চাচ্ছিস?
___চাচ্ছিনা, আজই বিয়ে করবো ৷ ফোন রাখলাম ৷
.
ফারিয়াকে বিয়ে করলাম, বিয়ে করে আর কোথাও গেলাম না; বাসায় ফিরলাম, সন্ধ্যা পর ৷ ভাবলাম বউতো তার প্রেমিকের সাথে ভেগে চলে গেছে ৷
আমি বিয়ে করে বউ নিয়ে বাড়িতে হাজির হয়েছি ৷ বাড়ির গেটে নতুন বউকে রেখে শুধু আমিই বাসার ভেতর ঢুকে পড়লাম ৷একি বউ কেন এখনো বাসায়, তার তো বয়ফ্রেন্ডের কাছে থাকার কথা? বউ লাঠি নিয়ে দাড়িয়ে ছিল, হঠাৎ সেটা ফেলে দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলল
___ আমাকে মাফ করো, আমি মানুষ চিনতে ভুল করছি ৷ লম্পটটা বিয়ে করে ফেলছে অন্য কাউকে ৷ তাই ওকে ছেড়ে চলে আসছি ৷
আমি জানি তুমি আমাকে ছাড়া কাউকে ভালবাসোনা, তুমি যে ফারিয়ার সাথে প্রেম করছো এবং তাকে নিয়ে যেসব কথা আমাকে বলছো সেসব অবশ্যই মিথ্যা, এটা আমার বিশ্বাস!
___না, মোটেও মিথ্যা না ৷ এই দেখ তোমার বোন ৷ দাড়াও ডাকছি ওরে ৷
উচ্চস্বরে একটু ঢং নিয়ে নতুন বউকে ডাক দিলাম এভাবে,
_ও গো প্রিয়তমা বউ আমার, ভেতরে ঢোকো তো সোনা!
.
ফারিয়া মডেলদের মত হেলে দুলে আমার বউয়ের নিকট আসলো আর বলল
____বুবু, আজ আমরা দুজনে কাজিন থেকে সতিন হয়ে গেলাম ৷
___এত বড় ক্ষতি করতে পারলি বোন আমার?
___সরি আপু, দুলাভাইয়ের কষ্ট সহ্য হচ্ছিলনা ৷ আমি খুবই দয়ালু মেয়ে তো ৷
আমার নতুন বউয়ের কথা শুনে হাসতে হাসতে প্রথম বউকে বললাম
___দেখছো এটাকে বলে বউ ৷
___আমি তাইলে কি ?
___তুমি তোমার বোনের সতিন ৷
___তোমার কি হই তাহলে?
___আমার শালিকা ৷
___কি?
___জ্বী ৷ সরো, আমার ঘুম পাচ্ছে ঘুমাবো .
.
ফারিয়াকে নিয়ে আমার রুমে গিয়ে ধপাস করে দরজা আটকিয়ে ফেললাম ৷
বউ আগে থেকেই ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে ছিল ৷ দরজা আটকানোর পর বউয়ের দিকে জানালা দিয়ে নজর দিলাম সে চোখের আর নাকের পানি ফেলে কাঁদছে!
আমি মনে মনে বললাম - ইশ! বউটা কি কষ্টটাই না পেল!
আমি বিবাহিত তবুও প্রেমিকা খুঁজে বেড়াচ্ছি ৷ সবাই ভাববে আমার চরিত্র ভালনা ৷ কিন্তু কি করার, বউ যদি বাসর রাতের প্রথম দিন বলে-- “আমি আপনারে স্বামী হিসেবে মানিনা আমার প্রেমিক আছে, সে বিসিএস ক্যাডার হতে চলছে ৷ সামনেই পরীক্ষা ৷ পড়াশোনার চাপে আছে সে ৷ পরীক্ষা শেষ হলেই সে আমার কাছে চলে আসবে, এবং আমরা বিয়ে করে নিবো" ৷ এমন কথা শুনে কার না হ্নদয়ে কষ্ট লাগবে? আজ বিসিএস ক্যাডার নই বলে!!
যেই বউকে স্পর্শ পর্যন্ত করতে পারিনি, সেই বউয়ের অপেক্ষায় থেকে সোনার যৌবন নষ্ট করবো কোন দূঃখে? তাই আমি খুঁজতে লাগলাম প্রেমিকা ৷ বউ খোঁজা বাদ দিছি, যদি আরেকটা বিয়ে করি তবে সেও যদি এই বউটার মত হয় তবে জীবনটা ত্যানাত্যানা হয়ে যাবে ৷
তাই আগে প্রেম করবো তারপর বিয়ে ৷ এজন্যই ফেসবুকে প্রেমিকা খুঁজতেছিলাম ৷ মনের মত একজনকে পেয়েও কাজ হলোনা ৷ সেই মেয়েটির নাম ছিল মিথিলা ৷ তাকে প্রোপস করলে আমাকে সোজা রিজেক্ট করে এবং আমাকে বন্ধু বানিয়ে নেয় ৷
.
তাই নতুন কাউকে খুঁজতে লাগলাম ৷
সেদিন আমার বউ অনিমা'কে নিয়ে গেলাম শ্বশুর বাড়ি ৷ বউয়ের যে এত সুন্দরী একটা কাজিন আছে সেটা জানা ছিলনা ৷ তাকে পটাতে লাগলাম ৷ সে দেখি গলতে শুরু করে ৷ দুদিনে শালিকাকে বাগে এনে ফেললাম ৷ প্রেমের ক্ষেত্রে দারুন টিপস জানে ফেসবুকের আমার সেই বন্ধু মিথিলা, তারে বলতাম যে একটা মেয়ের প্রেমে পড়েছি তাকে কিভাবে ইম্প্রেসশড করতে পারি? সে নানারকম টিপস দিতো ৷ সেগুলো আমার বউয়ের কাজিনের উপর প্রয়োগ করতাম ৷ এবং কাজেও খাটতো ৷
বাসায় ফিরে কাজের ফাঁকে শুধু শালিকার সাথে ফোনে কথা বলতে লাগলাম ৷ কথার ভাষা হারিয়ে গেলে মিথিলাকে বলতাম নতুন নতুন প্রেমময় কথা শিখিয়ে দিতে, সে তাই করতো ৷ বউ তো তার পাশে আমাকে ঘেষতে দেয়না তাই শালিকাই আমার সম্বল ৷ বউয়ের কাজিনকে একপর্যায়ে পুরোপুরি পটিয়ে ফেললাম ৷ সে আমার প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হল ৷ তাকে বলেছি যে-- “তোমার চাচাতো বোনকে বিয়ে করলে কি হবে সে আমাকে ভালবাসে না, শীঘ্রই সে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে ভাগবে সূতরাং তুমি আমার হয়ে যাও, তোমাকে চিরসুখে রাখবো" ৷ সে এটা বিশ্বাস করে এবং আমাকে শেষপর্যন্ত বলতে বাধ্য হয় আমিও তোমাকে ভালবাসি ৷ বউয়ের কাজিন ফারিয়ার সাথে যে প্রেম করছি এবং তাকে নিয়ে যে শীঘ্রই পালাবো এটা বউ জানেনা ৷ ফেসবুকের বন্ধু মিথিলা কে বললাম প্রেমিকাকে নিয়ে তো পালাবো তুমি এব্যাপারে কি বলো? সে বলে যত তাড়াতাড়ি পারো পালিয়ে যাও, নাহলে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিতে পারে ৷
তার কথামত ফারিয়াকে বললাম অমুক দিন অমুক জায়গায় এই সময়ে চলে আসো ৷ সে তার বাবা মায়ের চোখকে ফাঁকি দিয়ে সেই জায়গায় চলে আসলো ৷ আমি তাকে সেখান থেকে নিয়ে কাজী অফিসে গেলাম ৷
ঐ সময়ে দেখি ফেসবুকের সেই বন্ধু মিথিলা তার প্রোফাইলে আমার বউয়ের পিক লাগিয়েছে ৷ ভাবলাম সে আমার বউয়ের পিক কই পেলো? আমি কি তাকে আমার বউয়ের পিক দিছি? পরে তার প্রোফাইলে ক্যাপশনের দিকে নজর দিয়ে দেখলাম সে লিখছে- “আজ সে আসবে সেই খুশিতে নিজের আসল পিকচার আপলোড করলাম" ৷
বুঝতে বাকি রইলোনা যে এতদিন বউয়ের লগেই চ্যাটিং করে গেছি ৷ তবে একটা ব্যাপারে খুশি হলাম ৷
মনে মনে হাসলাম এই ভেবে যে বউ তার জামাইকে তার বোনের সাথে পালানোর জন্য কি চমৎকার ভাবেই না সাহায্য করলো ৷
অনিমার কাজিনকে বিয়ে করার আগে তাকে ফোন দিয়ে বললাম
___আমি তো বিয়ে করতে যাচ্ছি, তোমার কি মত?
___তুমি বিয়ে করবে কি করবেনা সেটা তোমার ব্যাপার তাতে আমার কি? আমি তো আজ তোমার থেকে মুক্ত হবো ৷ আরিয়ান আজ আসছে ৷
___ঠিক আছে ৷ তোমার কাজিনকে বিয়ে করছি পরে যেনো কিছু বলোনা?
___কি? কাকে বিয়ে করছো?
___ফারিয়াকে, তুমিই তো তার সাথে প্রেম করিয়ে দিতে সাহায্য করলে!
___কি যা তা বলছো, কেমনে?
___ তোমার মিথিলা আইডিতে সাজিদ নামের আইডিটা আমারই, বউ!
___ওহ নো, তোর এত বড় সাহস আমার সাথে এতদিন চ্যাটিং করছিস? আবার আমার কাজিনকে ভাগিয়ে বিয়ে করতে চাচ্ছিস?
___চাচ্ছিনা, আজই বিয়ে করবো ৷ ফোন রাখলাম ৷
.
ফারিয়াকে বিয়ে করলাম, বিয়ে করে আর কোথাও গেলাম না; বাসায় ফিরলাম, সন্ধ্যা পর ৷ ভাবলাম বউতো তার প্রেমিকের সাথে ভেগে চলে গেছে ৷
আমি বিয়ে করে বউ নিয়ে বাড়িতে হাজির হয়েছি ৷ বাড়ির গেটে নতুন বউকে রেখে শুধু আমিই বাসার ভেতর ঢুকে পড়লাম ৷একি বউ কেন এখনো বাসায়, তার তো বয়ফ্রেন্ডের কাছে থাকার কথা? বউ লাঠি নিয়ে দাড়িয়ে ছিল, হঠাৎ সেটা ফেলে দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলল
___ আমাকে মাফ করো, আমি মানুষ চিনতে ভুল করছি ৷ লম্পটটা বিয়ে করে ফেলছে অন্য কাউকে ৷ তাই ওকে ছেড়ে চলে আসছি ৷
আমি জানি তুমি আমাকে ছাড়া কাউকে ভালবাসোনা, তুমি যে ফারিয়ার সাথে প্রেম করছো এবং তাকে নিয়ে যেসব কথা আমাকে বলছো সেসব অবশ্যই মিথ্যা, এটা আমার বিশ্বাস!
___না, মোটেও মিথ্যা না ৷ এই দেখ তোমার বোন ৷ দাড়াও ডাকছি ওরে ৷
উচ্চস্বরে একটু ঢং নিয়ে নতুন বউকে ডাক দিলাম এভাবে,
_ও গো প্রিয়তমা বউ আমার, ভেতরে ঢোকো তো সোনা!
.
ফারিয়া মডেলদের মত হেলে দুলে আমার বউয়ের নিকট আসলো আর বলল
____বুবু, আজ আমরা দুজনে কাজিন থেকে সতিন হয়ে গেলাম ৷
___এত বড় ক্ষতি করতে পারলি বোন আমার?
___সরি আপু, দুলাভাইয়ের কষ্ট সহ্য হচ্ছিলনা ৷ আমি খুবই দয়ালু মেয়ে তো ৷
আমার নতুন বউয়ের কথা শুনে হাসতে হাসতে প্রথম বউকে বললাম
___দেখছো এটাকে বলে বউ ৷
___আমি তাইলে কি ?
___তুমি তোমার বোনের সতিন ৷
___তোমার কি হই তাহলে?
___আমার শালিকা ৷
___কি?
___জ্বী ৷ সরো, আমার ঘুম পাচ্ছে ঘুমাবো .
.
ফারিয়াকে নিয়ে আমার রুমে গিয়ে ধপাস করে দরজা আটকিয়ে ফেললাম ৷
বউ আগে থেকেই ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে ছিল ৷ দরজা আটকানোর পর বউয়ের দিকে জানালা দিয়ে নজর দিলাম সে চোখের আর নাকের পানি ফেলে কাঁদছে!
আমি মনে মনে বললাম - ইশ! বউটা কি কষ্টটাই না পেল!
Comments
Post a Comment