জীবনের ১ম টিউশনি জুটলো পুরান ঢাকায়।মেয়ে ক্লাস ৯ম শ্রেণিতে পড়ে।সপ্তাহে তিনদিন পড়াতে হবে।
১ম দিন যেয়ে দেখি মেয়ে দেখতে আমার থেকেও বড়।
আশ্চোইর্য!! মেয়ের মা হাইসা কইল... বুঝচো বাবাজী আমার মায়া কিন্তুু রুপে গুণে মাশাআল্লাহ....।
আমি চমকে উঠলাম। আমি এসেছি পড়াতে পাএী দেখতে না।এসব কয় কোন উদ্দোশ্য।।।
তয় হোন বাবাজী আমার মাইয়া কিন্তুু বহুত শেয়ানা আছে।পড়াশুনায় মন দেয় না।।...সারাদিন খালি শাহরুখ খানের রোমান্স দেহে।
সেভেনে ৩ বার ফেল দিয়েছে!! তখন আমার হাসি এসে গেলো।এত গর্ব করে কেউ ফেল করার কথা বলতে পারে জানা ছিল না।...ওওও!!তাইত বলি।
কি কও??? কিছুনা।আচ্চা সেসব কথা বাদ দাও, আমার মাইয়ারে পড়াইবা, যেভাবে হোক ১০ম শ্রেনি পাশ করাবা।মাইয়ারে ত বিয়া দিতে হইবো???
জ্বি আচ্ছা.....
কোনো চিন্তা করবেন্না। আমি আছি।।।
১ম দিন.... মেয়ের রোমান্টিকতাকে পাশকাটিয়ে পড়ানো শেষ করলাম....
২য় দিন.......গিয়ে বাসায় নক করলাম, দরজা খুলতেই অন্দরমহল থেকে মেয়ের মা জিঙ্গেস করলো কেডা আইছে??
মেয়ে মিষ্টি গলায় বলল,, আব্বে মাষ্টর হালায় আইছে।
সেদিনই মাষ্টারি ছেড়ে দিলাম।
এতসুন্দর করে মাষ্টর হালা ডাক শুনার পর মাষ্টারি করার আগ্রহ আর রইলো না।
Comments
Post a Comment